খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ পৌষ, ১৪৩১ | ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে এক জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৪
  দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে : তারেক রহমান
  খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহাবুব আলম সোহাগকে কারাগারে প্রেরণ

দুই মাথা-তিন পা নিয়ে শিশুর জন্ম, অসহায় দরিদ্র বাবা-মা

গেজেট ডেস্ক

মাগুরার শ্রীপুরে হতদরিদ্র হামিদ খাঁ ও মিতা বেগম দম্পতির ঘরে জোড়া লাগানো দুই ছেলে শিশুর জন্ম হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দারিয়াপুর ইউনিয়নের চর চৌগাছি গ্রামে রাত ১টার দিকে নিজ বাড়িতে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়।

শিশু দুটির ২টি মাথা, ৪টি চোখ, ১টি পেট, ১টি পুরুষাঙ্গ, ৩টি পা, ৪টি হাত এবং এক পায়ে ৮টি আঙুল রয়েছে। দুই মেয়ের পরে এবার জোড়া লাগানো পুত্র শিশু জন্ম দিয়েছেন মিতা বেগম।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শিশুটিকে দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করছেন। বর্তমানে শিশু এবং শিশুটির মা স্থানীয় উলজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সন্তান প্রসব করানো ধাত্রী রুপিয়া বেগম বলেন, ৩০ বছর ধাত্রীর কাজ করছি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমার বাড়ির পাশে এক গর্ভবতী মহিলার প্রসব বেদনা উঠেছে খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে যাই। অনেক সময় ধরে সন্তান প্রসব করানোর জন্য চেষ্টা করার পর ৪টা হাত, ৩টা পা, দুটি মাথাওয়ালা জোড়া বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়। বাচ্চাটা দেখে আমি ভয় পেয়ে গেছি। তবে এই বাচ্চার পরিবার খুবই দরিদ্র ও অসহায়।

প্রতিবেশী ইকবাল হোসেন বলেন, আমার বাড়ির পাশে হতদরিদ্র পরিবারে জোড়া লাগানো বাচ্চার জন্ম হয়েছে। এ বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন জায়গা থেকে যারা দেখতে আসছে তারা ৫-১০ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছে। পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (দারিয়াপুর) পাঠানো হয়েছে। বাচ্চার বাবা ৫ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অসুস্থ। বাচ্চার খাবারের জন্য দুধ দরকার। পরিবারটির এমন অবস্থা দুধের টাকাও ঘরে নেই। কোনো বিত্তবান ব্যক্তি বা সরকারের পক্ষ থেকে এই হতদরিদ্র পরিবারকে সহযোগিতা দিলে তারা উপকৃত হবে।

প্রতিবেশী আলেয়া বেগম বলেন, আমার ৬২ বছর বয়সে জীবনেও এরকম বাচ্চা দেখিনি। এ বাচ্চা দেখে প্রথমে ভয় পেয়েছি। এই বাচ্চার চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য এই পরিবারের নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শিশুটির মা মিতা বেগম বলেন, আমরা খুব গরিব মানুষ। বাচ্চাকে মাগুরা শিশু ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছেন। টাকা-পয়সার অভাবে নিতে পরছি না। সবাই আমাদের সহযোগিতা করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরএমও কাজী নাজমুস সাকিব বলেন, শরীর জোড়া লাগানো বাচ্চা বাসায় ডেলিভারি হয়।পরে আমাদের হাসপাতালে বাচ্চা এবং মা ভর্তি করা হয়। বাচ্চার মলদ্বার পাওয়া যায়নি তবে এখন পর্যন্ত সুস্থ আছে। ঢাকা শেরে বাংলা নগর শিশু হাসপাতাল গেলে কম খরচে ভালো চিকিৎসা পাবে। রোগীর পারিপার্শ্বিক যে বিষয়াদিগুলো আছে এগুলো ব্যবস্থা করার পর সিদ্ধান্ত নেবে। এখন পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে রয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!